চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তীব্র তাপদাহে পাকিস্তানে মৃত প্রায় ৭০০

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে সিন্ধু প্রদেশে তীব্র তাপদাহে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা মোকাবেলায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।

তাপদাহ আক্রান্ত এলাকায় যেখানে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকেছে, সেখানে সাহায্য কার্যক্রম চালাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উদ্ভুত সমস্যা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সমালোচনা করেছেন।

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আক্রান্ত এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিভাগ এবং ফ্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখিন হওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় অধিবাসিরা। মুসলিমদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে দিনের বেলায় পানি ব্যবহারে নিবৃত্ত থাকার কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট অথরিটি (এনডিএমএ) জানিয়েছে যে তারা উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকবেলার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছেন।

সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য সচিব সাইদ মাংনেজো বলেন করাচি শহরে অবস্থিত সরকার পরিচালিত প্রধান হাসপাতালগুলোতে গত চারদিনে ৬১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আরও ৮০ জনের মারা গেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তীব্র তাপদাহে এতো মানুষের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শরীফ এনডিএমএ’কে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন।

মৃত্যুবরণ করা মানুষদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন আয়ের বয়স্ক ব্যক্তি। এখনও হাসপাতালগুলোতে হাজারেরও অধিক লোকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থায়ই আশংকাজনক।

গ্রীষ্মের সময়ে পাকিস্তানে তীব্র তাপদাহ নতুন নয়। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা পরিস্থিতি খারাপ করে তুলেছে। করাচির কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে না পারার দায়ে ক্ষুদ্ধ ব্যক্তিরা সরকার এবং করাচির বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত কে-ইলেকট্রিক’কে দোষারোপ করছে।

পাকিস্তানের কোনো জায়গা বিদ্যুৎ সংযোগহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রমজান মাসের শুরু থেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহারে অপচয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি জানান।