চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

খালেদার আইনজীবীরা ব্যথিত-মর্মাহত, দুদকের আইনজীবীরা খুশি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করার পর দ্বৈত অনুভূতি প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা।

আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘আমরা আজকের এই আদেশে অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছি। আমাদের কোনও বক্তব্য আদালত শুনলেন না। আইনগতভাবে এই মামলাটি মোকাবেলা করার জন্য নূন্যতম সুযোগ আমাদের দিলেন না। তবু আমরা আশা করি রোববার আদালত উভয় পক্ষকে শুনবেন এবং অতীতের নজিরগুলো লক্ষ্য রেখে আজকে যে আদেশটি দিলেন তা প্রত্যাহার (ভ্যাকেট) করবেন।’

তবে আদেশের পর দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেছেন, ‘আজকের আদেশে জন্য আমি হ্যাপি। আগামী রোববারের মধ্যে আদালত আমাদের লিভ টু আপিল করতে বলেছেন। খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। আর আজকে দুপুরের মধ্যে যদি আমরা জামিন আদেশের সার্টিফায়েড কপি পেয়ে যাই তাহলে আজ না হলে আগামীকাল দুপুরের মধ্যে লিভ টু আপিল করব।’

এর আগে বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আদেশ দিয়ে বিষয়টি শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গতকাল খালেদার জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানি জন্য নির্ধারণ করেন। সে ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বিষয়টি আপিল বিভাগে উঠে।

গত সোমবার এই মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন আদেশ দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

আর এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

সেই সাথে খালেদা তারেকসহ সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।