আগামী মাসে ইংল্যান্ডে ফিরছে ক্রিকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বাগতিকরা খেলবে তিন টেস্টের সিরিজ। দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলেও সাউদাম্পটনে ৮ জুলাই মাঠের লড়াইয়ে নেমে পড়বেন স্টোকস-রুটরা।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, জুলাইয়ে মাঠে নামার কথা ছিল তামিম-মুমিনুলদেরও। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাওয়ায় সে সম্ভাবনা কমে গেছে। বিসিবি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনুশীলনও শুরু করতে পারেনি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
এমন অবস্থায় একমাস পর ক্রিকেটারদের পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেলতে নামানোর যৌক্তিকতা দেখছেন না বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া টাইগারদের টেস্ট খেলতে নামার পক্ষে নন তিনি। আকরাম জানিয়েছেন, আরেকটু সময় নিয়েই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সফল দেশ শ্রীলঙ্কা অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে অনেক আগেই। মাত্র এক হাজার ৮৮৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। মারা গেছে ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন একজন।
তারপরও ভারত জানিয়ে দিয়েছে জুনের শেষদিকে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে কোহলিরা যেতে পারবেন না শ্রীলঙ্কায়। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। বিসিবি এখনো ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ কিছু জানায়নি। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র মোহন ডি সিলভা রোববার নিজ দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিসিবির সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষায় আছেন তারা।
গুঞ্জন রয়েছে শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ভালো থাকায় সফরটি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিসিবির কেউ কেউ। এজন্যই নাকি সিদ্ধান্ত জানাতে সময় নেয়া। বিসিবি কর্মকর্তাদের একটা বড় অংশ অ্যাওয়ে সিরিজে খেলার ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন। সিরিজটি শেষ পর্যন্ত হলে পিছিয়ে আগস্টেও নেয়া হতে পারে। সিরিজটি নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচল বেড়েই চলেছে।
করোনা দুর্যোগের কারণে ইতোমধ্যেই দুটি সিরিজ বাতিল হয়েছে বাংলাদেশের। মে মাসের আয়ারল্যান্ড সফর ও জুনে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ স্থগিত হয়ে যায় চীন থেকে অন্যান্য দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই।
শ্রীলঙ্কা সফরও বাতিল হয়ে গেলে তামিম-মুশফিকদের খেলা দেখতে অপেক্ষা বাড়বে এশিয়া কাপ পর্যন্ত। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় বসতে পারে টি-টুয়েন্টি সংস্করণের এ আসরটি।
যদিও তারিখ ও ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত করেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। তবে গত সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সে হয়েছে ইতিবাচক আলোচনা। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে সভা করেছে আইসিসি। সিদ্ধান্ত কোনটাই চূড়ান্ত হয়নি।