ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন একটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে মাত্র আড়াইঘন্টায়। আর কুমিল্লা আসতে সময় লাগবে মাত্র একঘণ্টা।
২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারলে শেষ হবে ২০২২ সালের মধ্যেই।
ওই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে সরকার। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মহাসড়কের আদলে এটি নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে ।
এ প্রকল্পটির পরিচালক মাহবুব উল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে এর খরচ ধরা হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। তবে সব মিলে যা খরচ হবে তার পরিমাণ ৬৭ হাজার কোটি টাকার মতো।
এক্সপ্রেসওয়েটির দৈর্ঘ্য হবে ২১৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৯৮ কিলোমিটার এফ গ্রেড এবং ১৯ কিলোমিটার এলিভেটেড। এক্সপ্রেসওয়েটিতে প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে ৭টি স্থান দিয়ে।
এই রুট স্থাপিত হলে পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যাবে। সেই সাথে মিয়ানমার, আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহ ও চীনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত এলাইনমেন্ট এবং নকশা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়েছে । ওই সভায় প্রস্তাবিত মহাসড়কটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় ।
মাহবুব আলম বলেন, কিছু বাজার এরিয়া আছে, সেখানে বাদ দিয়ে আমরা আমাদের কাজ করবো।
সভায় জানানো হয় বর্তমান ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫ থেকে ৮ মিটার দূরত্বে নির্মাণ করা হবে ৬ লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি।
থাকবে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা সার্ভিস রোড। নির্ধারিত টোল দিয়ে এক্সপ্রেওয়ে ব্যবহার করা যাবে ।