ঢাকায় আনা হয়েছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্তকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরীর মৃতদেহ। কয়েক দফা নামাজে জানাযা শেষে বুধবার বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে সফল এ শিল্প উদ্যোক্তাকে।
আমজাদ খান চৌধুরী, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের প্রাণপুরুষ। সমাপ্তি থেকেই নতুন জীবন শুরু করেছিলেন আমজাদ খান চৌধুরী। ১৯৮১ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। পেনশনের টাকা দিয়েই শুরু প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ পথচলা। নিজের একক নেতৃত্বে তিন দশকে প্রায় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের এক বিশাল শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন প্রাণকে।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনী সহ নান রোগে ভুগে ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন সফল এ শিল্প উদ্যোক্তা। ৬ দিন পর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে তার মৃতদেহ। মৃতদেহ গ্রহণ করেন তাঁর দুই ছেলে আজাহার খান চৌধুরী ও আহসান খান চৌধুরী।
কাল সকালে তার মরদেহের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে আমজাদ খান চৌধুরীর ছেলে আহসান খান চৌধুরী বলেন, ঘোড়াশাল পাইলট স্কুলে আমাদের ফ্যাক্টরির সাথে আমরা জানাজা আদায় করবো। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমরা গায়েবানা জানাজা আদায় করবো। বাবার বন্ধু ও আমাদের কোম্পানীর বন্ধুদের সাথে জাতীয় জাদুঘরে আরেকটি জানাজা আদায় হবে সোয়া দুইটার সময়। জানাজা শেষে সম্মিলিত সামরিক কবরস্থানে বাবাকে কবর দিবো।
রাতে মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় রাখা হবে আমজাদ খান চৌধুরীর মৃতদেহ। জীবদ্দশায় আমজাদ খান চৌধুরী রিহ্যাব, বাপা, ইউসেফসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতিও ছিলেন তিনি।