চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জিয়াউল হককে এ প্রতিবেদনটি দিতে বলা হয়েছে।

সেই সাথে ‘বায়ু দূষণের দিক থেকে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় শহর’ আন্তর্জাতিক সংস্থার দেয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জিয়াউল হককে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রতিবেদন দেন আইনজীবী নুরুন্নাহার আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আর রিটকারীর পক্ষে ছিলেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

আজকের আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে হাইকোর্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বায়ু দূষণ রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, রাস্তায় পানি ছিটানোসহ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

সে নির্দেশ অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর আজ আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, তারা কোথায় কোথায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে এবং কতটি মামলা হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন আদালতের নির্দেশনা যেভাবে বাস্তবায়ন করার কথা সেভাবে করেনি। এমনকি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে আদালত সিটি করপোরেশনকে আবার প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

এদিকে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকায় ‘লিভিং ইন টক্সিক এয়ার’ শিরোনামে গত ৬ মার্চ একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

ওই রিপোর্টে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্রিনপিস’ ও ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’ এর দেওয়া তথ্য উদ্বৃতি করে বলা হয়,‘বায়ু দূষণের দিক থেকে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় শহর’।

কিন্তু ডেইলি স্টারের ওই রিপোর্টে আন্তর্জাতিক সংস্থার দেওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালককে আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।