পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে জিততে শেষ মুহূর্তের সর্বনাশে ২-২ গোলে ড্র। ম্যাচ শেষে তাই হতাশাটা ধরে রাখতে পারলেন না জাপানের কোচ সিগফ্রিদ আইকম্যান। সংবাদ সম্মেলনে ‘হতাশ’ কোচ বলে গেলেন, সামনের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যেতে চায় তার দল।
ম্যাচ নিয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে মুষ্টি টেবিলে ঠুকে বললেন, ‘আমরাই জিততাম। পাকিস্তান কপালের জোরে ড্র পেয়ে গেল। আমরা দুটো পয়েন্ট হারিয়েছি। ভীষণ হতাশার। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের এখন জয় ছাড়া বিকল্প কোনও পথ খোলা নেই। সেমিতে যেতে জিততেই হবে।’
‘ড্র’ করলেও সেমির দরজা এখনো খোলা আছে জাপানের সামনে। রোববার বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেলে আর ভারতের কাছে পাকিস্তান বড় ব্যবধানে হারলে শেষ চারে যাওয়ার ভালো সুযোগ থাকবে তাদের।
শুক্রবার মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে পুল ‘এ’র প্রথম ম্যাচে গোলের শুরুটা করেছিল আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পাকিস্তানই। ১৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল পান আরস্লান মুহাম্মদ কাদির।
জাপান গোল শোধ দেয় ২২তম মিনিটে। প্রায় একক প্রচেষ্টায় পাকিস্তান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কেনাটা তানাকা।
সমতায় ফিরেই আক্রমণের ধার বাড়ায় জাপান। ২৯ মিনিটে হেইটা ইয়োসিহারার রিভার্স স্টিকের শটে লিড পায় দলটি।
বাকি সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ জাপানের হাতে থাকলেও খেলা শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে ম্যাচ বাঁচানো গোলটি পায় পাকিস্তান। ৫০ মিনিটে উমর মোহাম্মদ ভুট্টোর ফিল্ড গোল মান বাঁচায় এশিয়ান জায়ান্টদের।