সরকারি হাসপাতালগুলো বিনামূল্যে ডেঙ্গু নির্ণয় করছে কিনা এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবারের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিক এ আদেশ দেন। ‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় অযৌক্তিক ফি’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর হাইকোর্ট এ মৌখিক আদেশ দেন।
আদালতে প্রতিবেদনটি নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোশতাক আহমেদ চৌধুরী। আদালতের আদেশের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ৪/৫ গুণ বেশি ফি নিচ্ছে। পত্রিকায় এসেছে অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। ১৪৫ টাকার পরীক্ষায় নিচ্ছে অনেক টাকা। কেউ সতের’শ আবার কেউ আঠার’শ টাকা নিচ্ছে। এটা কোর্টের নজরে আনার পর আদালত আদেশ দিলেন।
এদিকে পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। হাসপাতালে পৌঁছে মানুষ প্রথমেই জানতে চান, ডেঙ্গু হয়েছে কি হয়নি। ঠিক এই সুযোগটাই কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি বেশি রাখছে। তাদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
আর কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এই পরীক্ষার জন্য বেশি টাকা নিচ্ছে। একটি বড় হাসপাতালের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছে, তাঁরা আড়াই হাজার টাকা নিচ্ছেন। ধানমন্ডি–গ্রিন রোড এলাকার কিছু হাসপাতাল নিচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা।
ধানমন্ডির একটি হাসপাতাল কিছুদিন আগেও নিয়েছে ৭০০ টাকা। হঠাৎ তারা এ পরীক্ষার ফি দ্বিগুণ করেছে। পান্থপথের একটি হাসপাতাল নিচ্ছে ১ হাজার টাকা।