করোনাকালে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুজ্বর। দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে চারজন মারা গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকাতেই হাসপাতালে ১৮১ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪২ জন। রাজধানী ঢাকায় ভর্তি হওয়া ১৮১ জনের মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৬২ জন ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১১৯ জন।
পরিস্থিতি যে খারাপের দিকে যাচ্ছে, তা উপরের পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিষয়টি খুবই চিন্তার।
কোরবানির ঈদের পরে রাজধানী অনেকটাই খালি এখনও। চলমান লকডাউনের ফলে বহু মানুষ এখনও ঢাকার বাইরে, সেইসঙ্গে কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে। ডেঙ্গুজ্বরের কারণ এডিস মশা ডোবা-নালায় জন্ম নেয় না, এই মশা জনগণের আবাসস্থল নয়তো নির্জন ও পরিত্যক্ত জায়গায় জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয়। নারিকেলের মালা, পুরাতন টায়ার, চিপসের খালি প্যাকেট, ছাদের উপরে জমে থাকা পানি, গর্তে বৃষ্টির পানির মতো স্থানে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। এইসব জায়গা পরিষ্কার করলে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা খুবই সম্ভব।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তার রোধে সচেতনতামূলক চলমান ক্যাম্পেইন অব্যাহত রেখেছে সিটি কর্পোরেশনগুলো। বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-কারখানায় চলছে অভিযান-জরিমানা। এছাড়া বিনামূল্যে নানা জায়গায় ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষাও চলছে। শুধুমাত্র জনপ্রশাসনের উপরে নির্ভর করলে চলবে না, প্রয়োজন জনসচেতনতাও। তাহলেই খুব সহজেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।