ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই যেন মাস্ক পরে হাটে প্রবেশ করেন, তা নিশ্চিতে প্রতিটি হাটে কাজ করছে একদল যুবক।
‘বি হ্যাপি’ নামক একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ডিএসসিসি’র সব পশুর হাটে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এছাড়াও হাটগুলোর প্রবেশমুখে এলইডি মনিটরে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত দুটি এনিমেশন এবং নগরবাসীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, কোরবানির পশুর বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার অনুরোধ সম্বলিত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ঈদ শুভেচ্ছার ভিডিও বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিতরণ করা হচ্ছে ২ লাখ লিফলেট।
সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জিহাদ হোসেন জানান, “হাটে আগত লোকজন যেন মাস্ক ছাড়া হাটে প্রবেশ না করতে পারে সেলক্ষ্য আমরা কাজ করছি। কোরবানির পশুর হাট যেমন এ সময়ের বাস্তবতা তেমনি পশুর হাটে প্রবেশের সময় মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখাটাই সর্বোত্তম পন্থা। সেজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এবারের ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে এ কাজ করছি। হাট শুরুর দিন থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। হাট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা চলমান থাকবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ১১টি হাটে সংগঠনটির ১১টি দল স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে উদ্বুদ্ধ করা ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে জানিয়ে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ পুশন বলেন, প্রতিটি হাটে আমাদের ৮ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ২ জন সুপারভাইজর মাস্ক পরিধান করানোসহ সচেতনতা সৃষ্টিতে ২ শিফটে কাজ করে যাচ্ছে৷ প্রাথমিকভাবে আমাদের এক লক্ষ মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৩ দিনের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা আরও ৫০ হাজার মাস্ক বিতরণ করছি। পাশাপাশি ১১টি হাটে ১৪টি এলইডি মনিটরে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে উদ্বুদ্ধ করতে দুটি এনিমেটেড ভিডিও ক্লিপ এবং পশু বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার অনুরোধ সম্বলিত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ঈদ শুভেচ্ছার ভিডিও বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিতরণ করা হচ্ছে ২ লাখ লিফলেট।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাথে এক সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১১টি হাটেই এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।