হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়ে তার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে “ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদল নেতা মধুর চিকিৎসা” কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ১০ দিনের মধ্যে মধুর চিকিৎসার বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদল নেতা মধুর চিকিৎসার ঘটনায় করা রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
“ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদল নেতাকে চিকিৎসা” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের নজরে আনেন এবং সুয়োমোটো আদেশ চান সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী। তবে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা চাইলে (রিট) ফাইল করে আসতে পারেন। সে ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে রিট করেন যুবদলের নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী।
যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক আমিনুর রহমান মধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডান্ডাবেড়ি পরা একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়।