চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঠেঙ্গারচরকে সন্দ্বীপের আদি ভূমি দাবি করে মানববন্ধন

রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য আলোচিত বঙ্গোপসাগরের ঠেঙ্গারচরকে সন্দ্বীপের অংশ দাবি করে চরটিতে প্রথমবারের মতো মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে সন্দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের পর সহস্রাধিক দ্বীপবাসী নৌকা র‌্যালি করেন। বিকেল তিনটায়  ‘জেগে উঠা ভূমি রক্ষা পরিষদ’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

 

এ সময় পরিষদের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঠেঙ্গারচর সন্দ্বীপের পশ্চিমে সাগরের ভাঙনে বিলুপ্ত হওয়া ন্যায়মস্তি ইউনিয়নের অংশ। এ চর সন্দ্বীপের অংশ। সন্দ্বীপ থেকে আধঘণ্টায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঠেঙ্গারচর পৌঁছানো যায়। যেখানে হাতিয়া থেকে দুইঘণ্টা সময় লাগে। দূরত্বও ২০ কিলোমিটারের বেশি। এ চরকে কেন হাতিয়ার অংশ বলা হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়।’

পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠেঙ্গারচরকে হাতিয়ার অংশ বলার অর্থ সন্দ্বীপের ভূমি হারা মানুষকে বঞ্চিত করা। ন্যায়মস্তিসহ সন্দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে দেশ-বিদেশে উদ্বাস্তু হয়েছেন।

সন্দ্বীপের প্রবীণ বাসিন্দা মৌলভী গোলাম তোয়াহা বলেন, ‘সন্দ্বীপের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নটি ১৯৫৩ সাল থেকে সমুদ্রের ভাঙনের শিকার হয়। যা ১৯৯১ ঘূর্ণিঝড়ে চুড়ান্তভাবে বিলীন হয়ে যায়। এই ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষের বসবাস ছিল। এখন সেখানে ঠেঙ্গারচর জেগে উঠেছে।’

এর আগে সকাল ১০টা থেকে সন্দ্বীপের পশ্চিম-দক্ষিণ উপকূলের বেড়িবাঁধের ওপর বিভিন্ন  স্কুল-কলেজ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এরপর সন্দ্বীপ থেকে ১৬টি নৌকাযোগে প্রায় সহস্রাধিক দ্বীপবাসী কথিত ঠেঙ্গারচরে গিয়ে প্রথমবারের মতো মানববন্ধন পালন করেন।

কর্মসূচিতে দ্বীপের বাসিন্দারা সন্দ্বীপের আদিভূমি ন্যায়মন্তি ইউনিয়নকে ঠেঙ্গারচর নামকরণ পরিবর্তন সহ সন্দ্বীপের ভুক্তভোগী মানুষের জন্য বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে সন্দ্বীপের জেগে উঠা ভূমিরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ও মাইট ভাঙা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পরিষদের রসদস্য সচিব সারিকাইত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ও আজিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজউল্লাহ ঠেঙ্গারচরে সন্দ্বীপের বিলুপ্ত ন্যায়ামস্তি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।