‘জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম ফেসবুক চিরকালই তার বিপক্ষে ছিল’- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সাইটটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
৮ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা নিয়ে চলমান তদন্তে সহায়তার জন্য ফেসবুকে প্রকাশিত নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ক বিজ্ঞাপনগুলো তদন্তদলের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ অনুসারে ফেসবুকে প্রকাশিত ৩ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন শিগগিরই হস্তান্তর করবে সাইট কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের ধারণা, বিজ্ঞাপনগুলো নির্বাচন চলাকালে এবং নির্বাচনের পর রাশিয়ার বিভিন্ন মিত্রপক্ষ কিনেছিল। আর এ কারণেই ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক আরেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের সঙ্গে ‘জোট বেঁধে’ তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। ফেসবুককে তিনি ‘ট্রাম্প-বিরোধী’ বলেও অভিহিত করেন।
ট্রাম্পের এই দাবি নাকচ করে এর জবাবে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে জাকারবার্গ বলেন, তিনি তার সাইটে সব ধরণের ধারণা ও চিন্তার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চান। ‘ঝামেলাপূর্ণ’ কিছু বিজ্ঞাপন ছাড়া ফেসবুক মূলত জনগণকে নিজের কথা প্রকাশের সুযোগ দেয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন এবং লাখ লাখ মানুষকে ভোটদানে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
জাকারবার্গ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলই নিজ নিজ অপছন্দের কন্টেন্ট নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। এমনকি লিবারেলরা এমনও অভিযোগ করেছেন যে, জাকারবার্গ ট্রাম্পকে জিততে সাহায্য করেছেন।
প্রত্যেক প্রার্থীই অনলাইন বিজ্ঞাপনের পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছেন, যা সামান্য কিছু ‘ঝামেলাপূর্ণ’ বিজ্ঞাপনের তুলনায় হাজারগুণ বেশি।
তবে শুধু ফেসবুক আর টুইটার নয়, পক্ষপাতিত্বের একই অভিযোগ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিখ্যাত মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টের বিরুদ্ধেও করেছেন।
ফেসবুক ছাড়াও টুইটার এবং টেক জায়ান্ট গুগলকে ১ নভেম্বর মার্কিন সিনেট গোয়েন্দা কমিটির সামনে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে ডাকা হয়েছে। ফেসবুক আর গুগল কমিটির ওই শুনানিতে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণপত্র পাবার কথা জানালেও তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের কোনটিই এখনও নিশ্চিত করে বলেনি তাদের প্রতিনিধি আদৌ সেখানে থাকছে কি না।