সকল পূর্বাভাস উল্টে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাশিয়া-জাপানের মতো দেশ গুলো। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন সতর্ক প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্প জয়লাভের পরপরই তাকে অভিনন্দন জানান যুক্তরাষ্ট্রের চির প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গঠন মূলক সংলাপের প্রত্যাশা করে পুতিন তার অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন: দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সংকটপূর্ণ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে দুই দেশই কাজ করবে আশা করছি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ ট্রাম্পের সময়কালকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের মধ্যকার অনিশ্চয়তার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘একটা অনিশ্চয়তার সময় সবে মাত্র শুরু হলো। এই ফল ইঙ্গিত করে ফ্রান্সকে সামনের দিন গুলোতে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে। সেই সঙ্গে ইইউকেও।
ট্রাম্পের বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেসারা মে। তিনি বলেছেন: দুই দেশের মানুষের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। সামাজিক মূল্যবোধ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র সব জায়গায় আমাদের মধ্যে মিল রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে এ সম্পর্ক আরও মজবুত করার আশাবাদ রেখেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি ট্রাম্পের জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকল। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দু’দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন, ‘আশা করছি তার সময়ে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগের মতোই ঘনিষ্ঠ থাকবে। তিনি বিশ্ব অর্থনীতি, শান্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করবেন।
ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন অটুট থাকবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘রাজনীতিতে যেকোনো ধরনের পরিবর্তনের চেয়ে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন অটুট। ইউরোপের শক্তি আবিষ্কার করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’
তবে আশংকা প্রকাশ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজ বলেছেন: ট্রাম্পের বিজয় আমাদের কাজকে কঠিন করে তুলবে। ওবামার চেয়ে তার সঙ্গে কাজ করা কঠিন হবে। তারপরও তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আশাবাদ রাখেন তিনি। তার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে সেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফেরত চেয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইদিরিম মনে করছেন এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে।