কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত দুই ‘ইয়াবা ও হুন্ডি’ ব্যবসায়ী নিহত এবং পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগে দায়ের মামলারও আসামী।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার ইয়াবা, ৮ টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ২০ টি গুলি।
শুক্রবার মধ্যরাত ২ টায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহতরা হল, টেকনাফ পৌরসভার নাজির পাড়ার এজাহার মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০) এবং জালিয়াপাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)।
আহতরা হল, টেকনাফ থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) সঞ্জিব দাশ, কনেস্টেবল আল আমিন, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ এরশাদুল ও মোহাম্মদ সাব্বির।
আহতদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ২ জনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, মানি লন্ডারিং ও সাংবাদিকদের উপর হামলাসহ নানা অভিযোগে ১০ টির বেশি মামলা রয়েছে।
ওসি প্রদীপ বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়ার পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবা লেনদেনের জন্য জড়ো হয়েছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।
এতে ঘটনাস্থলে উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে।
এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে এক পর্যায়ে কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ি গুলি ছুড়া অবস্থায় পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে ২ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ২০ হাজার ইয়াবা, ৮ টি দেশীয় বন্দুক ও ২০ টি গুলি।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।