টেকনাফে কিছু পোকার উপস্থিতি নিয়ে যে খবর পাওয়া গেছে তাতে আতঙ্কের না হবার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এরই মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষকদলসহ তদন্ত টিম টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়: বেশ কিছুদিন আগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ঘাসফড়িংয়ের মতো কিছু ছোট পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়: কৃষি মন্ত্রণালয় অতিসম্প্রতি ঘাসফড়িংয়ের মতো দেখতে এসব পোকা আবারও দেখা দিলে এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। আজ সকালেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকেও পৃথক পৃথক টিম রওয়ানা দিচ্ছে।
ঘাসফড়িং সদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় এই পোকার শনাক্তকরণসহ আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংসে এই টিম কাজ করবে বলে কৃষি অধিদপ্তর জানায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক বলেন: গতকাল কীটনাশক স্প্রে করার পর গাছে থাকা পোকাগুলো মারা যায়। সেখানে আর কোনো জীবিত পোকা নেই।
তিনি বলেন: এই পোকা তেমন ক্ষতিকর নয় মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পোকা মরুভূমির ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পঙ্গপাল জাতীয় কোনো পোকা নয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।