টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। একই সাথে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত চেয়ে করা নির্বাচন কমিশনের আবেদনের শুনানি ২ নভেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ঠিক করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, কাদের সিদ্দিকী ঋণ খেলাপি কিনা ওই বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে। ২ নভেম্বর শুনানির পর ভোট গ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে আইনগত বাধা দেখছেন না তিনি।
কাদের সিদ্দিকীর আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী বলেছেন, কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে তারা আদালতকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কাদের সিদ্দিকী যে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচন করছেন; তাই এ পর্যায়ে নির্বাচন স্থগিত না করার জন্য আমরা আবেদন করেছি।
রউফ চৌধুরী আরো বলেন, চেম্বার বিচারক সম্পূর্ণ নির্বাচনটি স্থগিত করেছেন এবং আগামী ২ নভেম্বর এ মামলার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এ প্রসঙ্গে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, গ্রাহক হিসেবে কাদের সিদ্দিকীকে তার ব্যাংকই যেখানে তাকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখিয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বা রির্টানিং অফিসারকে ওই কথা জানিয়েছে। ১০ কোটি টাকা ঋণ রেখে একজন নির্বাচন করবে এটা তো হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আদালত যে আদেশ দিয়েছেন; তা সঠিক আদেশ। উনি খেলাপি ঋণ গ্রহীতা কিনা এ বিষয়টি আগে ফয়সালা হোক। নির্বাচনের তারিখ আর ১০ তারিখ থাকবে না। পুনঃতফসিলে সাধারণত ভোট গ্রহণের নতুন তারিখের প্রয়োজন হবে।
এর আগে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করে নির্বাচন কমিশন। ঋণ খেলাপির অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করলে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন কাদের সিদ্দিকী।
ট্রাইব্যুনালও তার মনোনয়ন বাতিল বলে রায় দেয়। পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। হাইকোর্ট তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করে তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগে এ নির্দেশের বিরুদ্ধে ‘কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থীতা কেন বাতিল হবে না’ মর্মে আপিল করে নির্বাচন কমিশন।