চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় শর্তসাপেক্ষে টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান মুক্তির অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রাণী দাসের সাক্ষ্য গ্রহণ ছিল। কিন্তু সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সুচিকিৎসার দাবিতে আসামীর জামিন আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম ও বাদি পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে বিচারক বিবেচনা করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তিকে অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন মঞ্জুরের সময় মুক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি।

মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই ও বাবা আতাউর রহমান খান একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ কলেজ পাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান।

মুক্তি অভিযুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।