আগামী ৩১ মার্চ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। অতীত ধারাবাহিকতার আলোকে সাধারণ মানুষ মনে করছেন এবারের নির্বাচনে একছত্র প্রভাব খাটিয়ে জয় ছিনিয়ে নিবে ক্ষমতাসীন দল।
তবে জেলা পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর সুষ্ঠ, অবাধ ,নিরেপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস তথ্যমতে ৭টি ইউনিয়নে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এতে চেয়ারপদে ২৭ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২২২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
এর মধ্যে মির্জাপুর ইউনিয়নের ১,২ও ৪নং সাধারণ আসন, হেমনগর ইউনিয়নের ২ নং সাধারণ আসন ও নগদা শিমলা ইউনিয়নের ৫ নং সাধারণ আসনের সদস্যগণ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৫টি ইউনিয়নে ১০ জন ও বিএনপি’র ২টি ইউনিয়নে ২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এছাড়াও কোন কোন ইউনিয়নে রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী।
নির্বাচন পূর্ববর্তী একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমর্থক ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ ও ভাংচুরে ঘটানা ঘটলেও অন্য কোন ইউনিয়নে তেমন বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনী এলাকায় চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে। প্রার্থীরা ক্লান্তিহীন ছুটে চলছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততোই চলছে জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে অতীত ধারাবাহিকতার আলোকে ভোটের উত্তাপে বইছে শংঙ্কার শীতল হাওয়া নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কি ?
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর নাগরপুরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উদাহারণ টেনে চ্যানেল আই অনলাইনকে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠ হবে। আর এজন্য যা যা করণীয় আমরা তাই করবো। সরকারের উপর মহল থেকেও নির্দেশ আছে অবাধ ,সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন করার।
চেয়ারম্যান পদে যারা নির্বাচন করছেন:
মির্জাপুর ইউনিয়ন: নৌকা প্রতীক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান তালুকদার। ধানের শীষ প্রতিকে ঘাটাইল জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জসিম।
আলমনগর ইউনিয়ন: নৌকা প্রতীকে অধ্যাপক আব্দুল মোমেন। ধানের শীষ প্রতীকে এহসানুল চৌধুরী ওপেল। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা দলীল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি এসএম মুকুল।
হেমনগর ইউনিয়ন: নৌকা প্রতীকে আনিসুর রহমান হীরা। ধানের শীষ প্রতীকে ইউনিয়ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রওশন খান আইয়ূব ও জুলফিকার আলী।
নগদা শিমলা ইউনিয়ন: নৌকা প্রতিকে কৃষক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট কে এম আবুল কালাম, ধানের শীষ প্রতিকে যুগ্ম-আহবায়ক আনছার আলী সাগর। বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম-আহবায়ক কামরুজ্জামান কামাল ও জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব খন্দকার শহিদুল আলম।
হাদিরা ইউনিয়ন: নৌকা প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কাশেম, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি’র রফিকুল ইসলাম। এছাড়া এ ইউনিয়নে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ৪জন বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নিক্সন, সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মোস্তফা লিটন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগে সভাপতি হুসাইন মোহাম্মদ রাসেল।
ঝাওয়াইল ইউনিয়ন: নৌকা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ধানের শীষে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন।
ধোপাকান্দী ইউনিয়ন: নৌকা প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি’র আহবায়ক গোলাম মোস্তফা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হাই ও বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক।