চট্টগ্রাম থেকে: সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্বরেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪১৮ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট হারিয়ে করে ফেলে ক্যারিবীয়রা। চতুর্থ ইনিংসে তিনশ’র বেশি রান তাড়া করে জয়ের একাধিক কীর্তিও আছে তাদের। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ সেই উইন্ডিজকে দিতে পেরেছে ২০৪ রানের লক্ষ্য। সংখ্যার বিচারে পুঁজি খুব বড় না হলেও বাংলাদেশকে জয়ের আশা দেখাচ্ছে সময়ের সঙ্গে ‘ভয়ংকর’ হতে থাকা জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামের উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ-৩২৪ ও ১২৫, উইন্ডিজ-২৪৬ (টার্গেট-২০৪)
সময়ের সঙ্গে উইকেটে বাড়ছে ঘূর্ণি, বাউন্স। তৃতীয় দিনের সকালেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ১২৫ রানে। আগের দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ থেকে যোগ আরও ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড বড় বাঁচা বাঁচিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকদের।
দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়েছে ১৭টি। যার মধ্যে শেষ সেশনেই পড়ে ৯ উইকেট। শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকালে পড়েছে ৫টি। আজই ম্যাচে ফলাফল চলে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘূর্ণি উইকেটে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল তিন দিনে। এক সেশনেই ইংলিশদের পড়েছিল ১০ উইকেট। চট্টগ্রামে রোমাঞ্চকর তেমন কিছুর অপেক্ষা করছে কিনা; সে কৌতূহল জাগাচ্ছে উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ১২২/৭। ডাগআউটে বসা একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের করতালির দৃশ্য ধরা পড়লো স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে। ততক্ষণে বাংলাদেশের যে লিড হয়ে গেছে ২০০ রানের। উইকেট যেভাবে বোলারদের পক্ষে কথা বলছে তাতে সাকিব-তাইজুল-মিরাজ-নাঈমরাও পেতে পারেন স্বস্তি।
খানিক পরই নাঈম হাসান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে ফিরতে তাকিয়ে রইলেন জায়ান্ট স্ক্রিনে। দেবেন্দ্র বিশুর বলটা কীভাবে ব্যাটে লেগে স্লিপে ক্যাচ গেল সেটি বুঝতে পারছিলেন না এই তরুণ। বাংলাদেশের স্পিনাররা আত্মবিশ্বাসী থাকতেই পারেন লড়াই জমিয়ে তুলতে!