চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জ্বালানিখাতে বরাদ্দ ২৮ হাজার কোটি টাকা

জ্বালানিখাতে ভর্তুকি নিয়ে দিনের পর দিন কথা হলেও এবারের বাজেটেও বড় ভর্তুকিই রাখছে সরকার। এ খাতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

এতে সৌর বিদ্যুৎ গুরুত্ব পেলেও যথারীতি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বাসা-বাড়ির গ্যাস সংযোগ।

সরকারি-বেসরকারিখাতে বিদ্যুতের নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েই চলেছে। রাজধানীসহ বড় বড় শহরে লোডশেডিংয়ের দিন প্রায় শেষ হয়েছে।

তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় সমানভাবে বিদ্যুৎ পান না সারাদেশের সব অঞ্চলের মানুষ। তাই সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে এবারের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সব মিলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে মোট বরাদ্দ গত বাজেটের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন তাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা।

চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এই খাতে ব্যয় ছিল ২৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। টাকার অঙ্কে ব্যয় বাড়ছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আগামী বছরের মধ্যে দেশের সকল উপজেলার ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের আওতায় চলে আসবে।

তবে ভর্তুকী থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না গ্যাস-বিদ্যুৎ খাত। এই খাতে ভর্তুকির জন্য সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে একশ’ কোটি টাকা কম। আর এলএনজি আমদানিসহ জ্বালানিখাতে ভর্তুকির প্রস্তাব রাখা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।

তবে দীর্ঘদিন ধরে দেয়া জ্বালানি তেলের ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। গ্যাস পাইপ লাইন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতেও গতানুগতিক উদ্যোগ আছে বাজেটে।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে গতি আনতে নতুন মডেল উৎপাদন-অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) অনুমোদনের পর স্থল ও সমুদ্রের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।

রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের ছাদসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌর বিদ্যুতের বহুমুখী ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে প্রস্তাবনা রয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে।

এর আগে, ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

এটি দেশের ৪৮তম, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট, আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। বক্তৃতার শুরুতেই একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন মুস্তফা কামাল।