আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) বাজেটে কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের ব্যবহারের জন্য বিদুৎ বিলের উপর ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন।
দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪০.৬২ শতাংশ কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত। সরকারের প্রচেষ্টায় ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বিগত দশবছরে কৃষিখাতে ৩.৭ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন ফসলের ১৫টি নতুন জাত ও ১০টি জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৩২৯টি উচ্চফলনশীল স্বল্পকালীন এবং লবণাক্ততা ও জলাবন্ধতার মতো ঘাত সহিষু ফসলের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বাজেটে কৃষিতে রাসায়নিক সারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে জন্য প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে সারের বিক্রয়মূ্ল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষককে ভর্তুকি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।