আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটসহ সব ধরণের তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশেষ ৩টি কারণ বিবেচনায় এসব পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রতি শলাকা সিগারেটের সর্বোচ্চ মূল্য দাঁড়াচ্ছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩ টাকা ৭০ পয়সা।
এসব পণ্যের দাম বাড়ানোর কারণ ৩টি হলো- বিশ্বব্যাপী ধুমপানবিরোধী রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান, তামাকজাত পণ্যের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এর ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় এসব পণ্যের কর বা শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
সিগারেট নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ, মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ, উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৩৫ শতাংশ এবং ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির শলাকার দাম ১৭ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
জর্দা ও গুল নিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিড়ি-সিগারেটের মত ভয়াবহ আরেকটি পণ্য হলো জর্দা ও গুল। এগুলো ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। তাই এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।