চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জোটবদ্ধ হয়ে ডাকসু নির্বাচন করবে ছাত্র ইউনিয়ন

‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ঐক্যের' ব্যানারে অংশ নেবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিজেদের প্রার্থী নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি সমমনা দলগুলো নিয়ে ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ঐক্য’ নামে জোট করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ‘সাংগঠনিক তৎপরতা ও দাবি’ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি৷

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, বামপন্থী ৬টি ছাত্রসংগঠনের মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আন্দোলনের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সদস্যদের নিয়ে ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ঐক্য’ গড়ার কাজ করছে তারা।

এছাড়াও ডাকসু নির্বাচন ‘সুষ্ঠু’ করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

দাবিগুলো হচ্ছে- ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে করা, ক্যাম্পাস ও হলে সব ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান ও স্বাধীন মতের পরিবেশ নিশ্চিত করা, গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি উচ্ছেদ করে প্রথম বর্ষ থেকেই মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে আসন বণ্টন এবং শ্রেণিকক্ষে নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারে জাতীয় নেতাদের অংশগ্রহণের ওপর আরোপিত বাধা বাতিল করা৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী৷

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ডাকসুর অনুপস্থিতিতে একদিকে মেধাভিত্তিক রাজনীতির বিপরীতে সন্ত্রাস ও পেশীশক্তিনির্ভর অপরাজনীতির বিকাশ ঘটেছে, অন্যদিকে জন্ম নিয়েছে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র৷ এর ফলে একের পর এক ছাত্রদের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং অপরাজনীতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনুগত দাস তৈরির কারখানার ভূমিকা নিয়েছে৷ ডাকসু নির্বাচন ও ডাকসুতে ছাত্রনেতাদের কার্যক্রম অবস্থার উন্নতি ঘটাবে বলে আমরা মনে করি, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়৷’’

লিখিত বক্তব্যের বাইরে লিটন আরও বলেন, ‘ভোট কেন্দ্র হলে হবে নাকি হলের বাইরে হবে সেটা নিয়ে একটা বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আমরা স্পেসিফিকলি বলতে চাই, এখানে হল ভার্সেস হলের বাইরের শিক্ষার্থীদের বিরোধের মুখে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হলের বাইরের চেয়ে হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা বেশী নির্যাতনের শিকার। তার স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক বেশী আশঙ্কা রয়েছে। আমরা মনে করি হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সর্বজনের মতামতকে ধারণ করার জন্য ডাকসুর ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে করা প্রয়োজন।’

ছাত্র ইউনিয়নের পরবর্তী সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও পহেলা মার্চ। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ও ১১ মার্চ ডাকসুর নির্বাচনের জন্য সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তুহিন কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক অপূর্ব রায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ।