নতুন করে জেগে উঠছে পাটশিল্প। বেশকিছু বন্ধ পাটকল চালু করার পর বর্তমানে দেশে চালু পাটকলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২শ ৯টি। বাধ্যতামূলক পাট মোড়ক ব্যবহারের আইন বাস্তবায়নের নানামুখী উদ্যোগে পরিধি বেড়েছে স্থানীয় বাজারেরও।
পঞ্চাশের দশক থেকে এই ভূখণ্ডে কৃষক ও ক্ষেত মজুরের পাশাপাশি তৃণমূল মানুষের জীবন মান উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে আসে পাটশিল্প। কৃষি ও শিল্পকে শোষণমুক্ত করার চিন্তা সামনে রেখেই রচিত হয় মহান স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ।
রপ্তানি বাণিজ্যে সোনালী অধ্যায়ের সূচনা করলেও নানা অনিয়ম ও পরিকল্পনার অভাবে এই শিল্পে নেমে আসে দুর্দিন। বন্ধ করে দেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জের আদমজিসহ বহু পাটকল।
পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, এখন সরকারের হাতে যে ২৭টি পাটকল রয়েছে এর আটটিই বন্ধ ছিল। এই পাটকলগুলো চালু থাকা অবস্থায় এসব জায়গায় উৎসবের পরিবেশ ছিল।
ঢাকা ডেমরার বাওয়ানী জুট মিলের শ্রমিকরা বলেন, আদমজি পাটকল বন্ধ হওয়াতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
সরকার নতুন করে এই শিল্পকে জাগিয়ে তুলতে একে একে চালু করেছে বেশ কটি পাট শিল্প প্রতিষ্ঠান। শ্রমিকদের মাঝে জেগেছে নতুন আশা।
এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক পাট মোড়ক ব্যবহারের আইন বাস্তবায়নের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ায় পাটের স্থানীয় বাজার গড়ে উঠেছে বলে জানায় পাট মন্ত্রণালয়। প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, আমরা অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টি ও পরিবেশরক্ষার জন্যেই এই বাধ্যতামূলক প্যাকেজিং পদ্ধতি চালু করেছি। এই আইন করাতে প্রতি বছর আমাদের ৮০ কোটি পাটের ব্যাগ আমাদের প্রয়োজন পড়বে।
একই সঙ্গে শিল্প মালিকরাও নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন এই শিল্প নিয়ে। বিজেএমএ’র চেয়ারম্যান মামস উজ জোহা বলেন, বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থা ভালো নয়। তবে এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় নিজেদের মধ্যে একটা বড় বাজার সৃষ্টি হয়েছে।