জুন ক্লোজিংয়ের নামে সারাদেশে আওয়ামী লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় এইসব লুটপাট তো চলছেই, এমনকি মসজিদ-মন্দিরের নামে ভুয়া কমিটি তৈরী করে অথবা নামসর্বস্ব ধর্মীয় ও সামাজিক ক্লাব-সংগঠন দেখিয়ে সরকারী বরাদ্দ নিজেদের পকেটে ঢুকাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
‘সারাদেশের জেলা-উপজেলায় চলতি জুনে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের মহোৎসবের খবর গণমাধ্যমগুলোর এখন প্রধান শিরোনাম। আজকেও গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, হবিগঞ্জ জেলার কুলাউড়া উপজেলায় অস্তিত্বহীন মসজিদ, মন্দিরের নামে সরকারী বরাদ্দ নিয়ে তারা লুটপাট চালাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির ২য় পর্যায়ে কুলাউড়া উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মোট ৬৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪ শত ৫৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে ৮ টি প্রকল্পে মোট ৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাকি টাকা লুটপাট হয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল পত্রিকার শিরোনাম ছিল লালমনিরহাটে জুন ক্লোজিংয়ের নামে টিআর, কাবিখা’র দশ কোটি টাকা লোপাট। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা কাগজে-কলমে প্রকল্প দেখিয়ে অন্তত: দশ কোটি টাকা পকেটে পুরেছে। এসব লুটপাটে উৎকোচের বিনিময়ে সহায়তা করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কতিপয় স্থানীয় কর্মকর্তা।
রিজভী বলেন, এমন লুটপাটের ঘটনা দেশের সর্বত্রই বিরাজমান। ব্যাংক, বীমা, সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গিলে ফেলে এখন তারা মসজিদ মন্দিরের টাকাও আত্মসাতে মেতে উঠেছে। লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করে পুরো দেশটাকে ধ্বংস করেও ক্ষমতাসীনদের ক্ষুধা মিটছে না।
তিনি আরো বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, সড়ক দুর্ঘটনায় বাড়ীতে বাড়ীতে শোকের মাতম, দেশকে বিপুলবিস্তারী দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানানো ইত্যাদি নানা ধরণের অবিচার-অনাচারের নৈরাজ্যময় পরিস্থিতিতে দেশবাসী এখন বিপর্যস্ত ও বিপন্ন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘জেনেটিক্যাল লায়ার’ আখ্যা দিয়ে কিছু নেতার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন রিজভী। আওয়ামী লীগ যদি এখনও নিজেদেরকে সংশোধন না করে তাহলে অবিলম্বে তাদের বিপজ্জনক অবতরণ ঘটবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।