বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে সবসময় জনগণকে ধোঁকা দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংকটে সারা দেশের মানুষ যখন অতিষ্ট তখন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ওয়েবসাইট দিচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য। পিডিবির ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, গতকাল ও এর আগের কয়েকদিন দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন ছিল, উৎপাদিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি।
রিজভী বলেন, তাদের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ২১ মে বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ৮ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট; উৎপাদন ছিল ৮ হাজার ৮৩০ মেগাওয়াট। ২০ মে চাহিদা ছিল ৮ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট; উৎপাদন ৮ হাজার ৮১৯ মেগাওয়াট। ১৯ মে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৮ হাজার ৫৫০ মেগাওয়াট; উৎপাদন ছিল ৮ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট। অর্থাৎ দেশের কোথাও কোনো লোডশেডিং নেই বরং চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি।
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু বিপর্যয় বললে ভুল হবে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে চলছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভীড় বাড়ছে। গ্রামাঞ্চল ও মফস্বল শহরে লোডশেডিং হচ্ছে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীর মতো বড় বড় শহর-নগরেও লোডশেডিং হচ্ছে দফায় দফায়।
রিজভী বলেন, মূলত কুইকরেন্টালের নামে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ করে ক্ষমতাসীনদের আত্মীয় স্বজনদের মোটাতাজাকরণ ছাড়া বিদ্যুতের কোন উন্নতি হয়নি। ভর্তুকি দিয়ে কুইকন্টোল বিদ্যুৎ স্থাপন করে মূলতঃ লুটপাটেরই সুযোগ দেয়া হয়েছে, আর কেটে নেয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের পকেট।
তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলে জনগণকে তারা ধোঁকা দিচ্ছে। জৈষ্ঠ্যের খরতাপে মানুষের যখন স্বস্তি দরকার তখন এই দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংকে সরকারের উন্নয়নের জলজ্যান্ত উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।