চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জিম্বাবুয়েকে রান পাহাড়ে চাপল বাংলাদেশ

প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ৪৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে। টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। ২০০২ সালে ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ-৫২২/৭ ও ২২৪/৬, জিম্বাবুয়ে-৩০৪ (জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ৪৪৩)

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ২১৮ রান লিড পাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি শতরানে পৌঁছানোর পরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

দেশের মাটিতে মাহমুদউল্লাহর এটি প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আট বছর আর ৪৭ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আগের সেঞ্চুরিটি ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে।

জিম্বাবুয়েকে ফলো-অন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নামার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছিল টাইগার টপঅর্ডার। ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার স্বস্তি অস্বস্তিতে রূপ নেয় চতুর্থ দিনের সকালেই, ২৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পাঁচশ পাড়ি দিয়েছিল মুশফিক-মুমিনুলের বীরত্বে। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন তারা ব্যর্থ, তখন হাল ধরলেন মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ। তাদের ১১৮ রানে রানের জুটিতে স্বস্তি ফেরে।

৬৭ রান করে মিঠুন স্লগসুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ ওঠান আকাশে। উইকেটের পেছনে থাকা চাকাভা অনেকটা দৌড়ে শর্ট লেগে গিয়ে বল জড়ান গ্লাভসে। তাতেই ভাঙে প্রতিরোধ গড়া জুটিটি। টেস্ট অভিষেকে ফিফটি পাওয়া মিঠুন খেলেন ১১০ বল। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার।

বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ দিনের সকালটা ছিল বিভীষিকার! জারভিস ও ত্রিপোনো মিলে শাসন করেন মিরপুরের ২২ গজ। দলীয় ৯ রানের মাথায় জারভিসের বলে মাভুতার হাতে ক্যাচে তুলে দেন ইমরুল (৩)।

পরের ওভারে ত্রিপানোর বলে উইকেটের পেছনে চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল (১)। দলের রান তখন ১০। ২৫ রানর মাথায় সাজঘরে ফিরে যান মুশফিকও। ৭ রান করে ত্রিপোনোর বলে ক্যাচ দেন মাভুতার হাতে।

ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক। ১২২ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও দুটি ছক্কা। ৩৪ বল খেলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ইনিংসে দুটি চার।