জামায়াতের খপ্পরে পড়ে বিএনপির মতো আওয়ামী লীগও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে শংকা দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের। ‘মৌলবাদের উৎস এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, জামায়াত এবং হেফাজত ইসলামকে হেফাজত করে সরকার মুক্তবুদ্ধি চর্চা এবং বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবেনা।
ভিন্নমত প্রকাশের অভিযোগে বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারীদের হত্যা নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক ব্লগার হত্যা, দুজন বিদেশী নাগরিক হত্যা, সশস্ত্র পুলিস সদস্য খুন আতংক তৈরি করেছে নাগরিকদের মনে। হত্যাকারীদের ধরতে না পারা, তারওপর পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি আইজিপির কথা-বার্তা জঙ্গীদের আরো উস্কে দিচ্ছে বলে মনে করছেন নাগরিকেরা। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের কারো কারো আচরণও সন্দেহজনক তাদের কাছে।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, আওয়ামী লীগ এখন হানিফ সিনড্রোমে আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, জামায়াতে ইসলামকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর হানিফ সাহেব বলবেন, নতুন প্রজন্মের জামায়াত-শিবিররা যদি ভুল স্বীকার করে আসে তাহলে তাদের দলে নিতে আপত্তি নেই। তো আমরা বা আমাদের আইনশৃংক্ষলা রক্ষাকারীবাহিনী কী বার্তা পাবে? তারা কেন কঠোর পদক্ষেপ নিবে? জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতিরোধ তৈরির দরকার নেই। আমাদের মধ্যেই যেসব খন্দকার মোশতাকরা আছে তাদের আগে খুঁজে বের করতে হবে।
একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল বাবু বলেন, আওয়ামী লীগে সৈয়দ আশরাফরা যেদিন জামায়াতকে উৎখাত করেছেন। সেটা অনেকটা তার একক সিদ্ধান্ত। নেত্রী শুধু হ্যা বলেছেন। ওটা একটা বিশেষ ক্ষণ ছিলো। তখনই আওয়ামী লীগে সৈয়দ আশরাফ দুর্বল হয়ে গেছে আর হানিফরা সবল।
রাষ্ট্র চাইলেই জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসের বিদায় করা সম্ভব বলে মত দেন সাবেক ডেপুটি স্পীকার শওকত আলী এমপি।
সংসদ সদস্য শওকত আলী বলেন, নারীদের ধর্ষণ করা বা ইভটিজিং করা আইজি পুলিশের ভাষায় ছেলেদের দুষ্টুমি। উনি কী বুঝে কথাটি বলেছেন জানিনা। কিন্তু এটাই যদি পুলিশ প্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি হয় তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো এসমস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা। এরা আইন-শৃংক্ষলা রক্ষাতো করতেই পারবে না বরং যারা দেশ পরিচালনা করে সবার গায়েই কালি-ময়লা লেপন করে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির আহবান জানান আলোচকরা।