বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও দেশটির বর্তমান হালচাল সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বাংলাদেশের খবর না রাখলেও বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর কীর্তির খবর তার কানে যায় বলে জানিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট।
সাবেক প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটারের দেশ সুইজারল্যান্ড থেকেই এসেছেন ইনফান্তিনো। আর জামাল বাংলাদেশের অধিনায়ক হলেও তার বেড়ে ওঠা সুইজারল্যান্ডের পাশের দেশ ডেনমার্কে। খেলেছেন কোপেনহেগেন এফসিতে। সেখান থেকেই ২০১৩ সালে গায়ে চড়ান লাল-সবুজের জার্সি।
এরপর থেকেই জামাল হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য সদস্য। হয়েছেন সাউথ এশিয়ান ফুটবলের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারও। গত মঙ্গলবার তার ফ্রি-কিক থেকেই হেডে গোল করে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন সাদ উদ্দিন।
লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তার নানা বাড়ি সিলেটে। ছোটবেলায় প্রায়ই ঘুরতে আসতেন সেখানে। তার বাড়িতে বাঙালিয়ানা পরিবেশের কথা কিছুদিন আগেই বিবিসিকে জানিয়েছেন হামজা। জানিয়েছেন, পরিষ্কার বাংলা বলতে পারেন তিনি। হৃদয়ে ধারণ করেন বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজাকে নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে মজা করলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট, ‘সত্যি বলতে আমি বাংলাদেশ নিয়ে খুব একটা জানি না। তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট একটা দেশ সম্পর্কে কতটুকু জানেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভারত ম্যাচের পর আমি এদেশের মানুষের উচ্ছ্বাস দেখেছি।’
‘একই সঙ্গে আমি জামালকেও জানি। জানি সে ডেনমার্ক ছেড়ে বাংলাদেশে খেলতে এসেছে। আমি তাকেও চিনি, ওই যে লম্বা চুলের যে ইংল্যান্ডের লেস্টারে খেলে, হ্যাঁ, হামজা। তাকে আমি হিংসা করি কারণ তার মাথায় অনেক চুল আর আমার এই অবস্থা (নিজের টাক মাথা দেখিয়ে সবাইকে হাসিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট)। আমি বিশ্বাস করি এরা সবাই এগিয়ে আসলে আর সঠিক বিনিয়োগ হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবেই।’