উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৬ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার লক্ষধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়া দুর্গত এলাকার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে।
কয়েকদিন থেকেই জামালপুর সদর, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়িতে যমুনা ছাড়াও ব্রক্ষ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ২৫টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
তবে বন্যা দুর্গত এলাকায় ৭৯টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় চাল ও নগদ টাকা ছাড়াও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণ খুবই অপ্রতুল।
জামালপুর ছাড়াও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ৬১ সে.মি ওপর দিয়ে বইছে। এর ফলে জেলার কাজিপুর, চৌহালি, শাহজাদপুর, বেলকুচি এবং সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকতা জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জের ৩৮ টি ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের মধ্যে ৬৪ মেট্রিক টন জি আর এর চাউল এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
দুই জেলাতেই আরো কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: