জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিককে মারধরের দুটি আলাদা
ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা
হয়েছে। ওই ঘটনায় আরো তদন্তের জন্য আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি
গঠন করা হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক চ্যানেল আই অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৮ জুন রাতে সংবাদ সংগ্রহের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো: শফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায় টিটো (ইতিহাস-৪০ব্যাচ), সহ-সম্পাদক জি এম ইকরামউদ্দিন অমি (মার্কেটিং-৪০ব্যাচ) ও ছাত্রলীগকর্মী ইকরাম নাহিদ (পরিসংখ্যান-৪৩ ব্যাচ)।
ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য মওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান প্রধান এবং ডেপুটি রেজিস্টার (শিক্ষা) মোহাম্মদ আলীকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৫ জুন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী নাটক ও জাবি প্রেস ক্লাব সদস্য আবু রায়হানকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী শরিফ হোসেন লস্কর (নৃবিজ্ঞান ৪২ ব্যাচ) ও রিয়াজুল ইসলাম (বাংলা ৪৪ ব্যাচ)।
এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য জাহানারা ইমাম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ কে প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্টার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি-২) এ বি এম আজিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবসহ ক্যাম্পাসে কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকরা।
জাবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিজু মোল্লা বলেন, সাংবাদিক লাঞ্ছনাকারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।