পৃথিবীর প্রাচীনতম এক জোড়া বড়শির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের একটি গুহায় মাছ ধরার এই বড়শিটি পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জোড়া বড়শিটি প্রায় ২৩ হাজার বছরের পুরনো।
সামুদ্রিক শামুকের খোলস কেটে এই বড়শি বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ধারণা করা হয়, ওই দ্বীপে ৩০ হাজার বছর আগে মানুষের বসবাস শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বীপটিতে সম্পদের অভাব থাকলেও শুরুতে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে লোকজন সেখানে টিকে ছিল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাচীন এই বড়শিটি থেকে ধারণা করা যায় যে মানুষ আদিকাল থেকেই প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে, বিজ্ঞানীরা যা আগে ধারণা করেনি।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, মানব সভ্যতার শুরুর দিকে মৎস্য শিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ ছিল। তবে এই মাছ ধরার জন্য কী ধরণের প্রযুক্তি বা কৌশল ব্যবহার করা হতো সে ব্যাপারে খুব বেশি জানা ছিল না। শুধু ইন্দোনেশিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনির কোথাও কোথাও এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।
কিন্তু বড়শির এই সন্ধান থেকেই বোঝা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরার জন্য এ ধরণের প্রযুক্তি চালু ছিল।
এর আগেও এরকম প্রাচীন বড়শি পাওয়া গিয়েছিলো টিমোরে। সেটি ছিল ১৬ হাজার বছর পুরোনো। আর পাপুয়া নিউ গিনিতে পাওয়া বড়শি ছিলো ১৮ হাজার বছরের পুরোনো।
ওই গুহায় বড়শি ছাড়াও প্রাচীন আরও বেশ কিছু যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, নির্দিষ্ট কিছু মৌসুমে লোকজন এসব গুহায় যেত। ওই সময় সেখানে বিশেষ প্রজাতির সুস্বাদু কাঁকড়া পাওয়া যেত বলে মনে করা হচ্ছে।