চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ  ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। তারপর পরপরই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

অনেক প্রাপ্তি নিয়ে এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে। গত বছর দুই বছর করোনা মহামারির সময়ে সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপিত হয়েছিল। বর্তমানে মহামারি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বতস্ফুর্ততাও বেশি।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে  ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে স্বাধীনতার সেই ঘোষণা ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’