চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জলবায়ু ক্ষতিপূরণ ত্বরান্বিত হওয়া বড় প্রাপ্তি: প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়সহ জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করতে বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের একমত হওয়াকে এবারের জলবায়ু সম্মেলনের বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি ৪৮টি জলবায়ুু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের দ্বারা ঢাকা-গ্লাসগো ঘোষণা গৃহীত হওয়া জলবায়ু কূটনীতিতে আমাদের দেশের অগ্রণী ভূমিকার ফল।’

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে তার ১৪ দিনের সরকারি সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করার উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কপ২৬-এর প্রধান কৃতিত্ব হল বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা প্যারিস চুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-র সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দসহ জলবায়ু তহবিল প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।

বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ধরনের অরণ্য নিধন রোধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে তাকে কপ২৬-এর পাঁচজন চুক্তি প্রস্তুতকারীর একজন হিসাবে নির্বাচিত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একে আমি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন আমাদের নৈতিক পররাষ্ট্র নীতির প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থা হিসেবে বিবেচনা করে সম্মানিত বোধ করি।’

তিনি সম্প্রতি ইউএনএফসিসিসি’র কাছে হালনাগাদকৃত ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) প্রদান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান এন্ড বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় অবহিত করেন।

পাশাপাশি, সিভিএফ-এর সভাপতি হিসেবে তিনি ক্লাইমেট ইমারজেন্সি প্যাক্ট  গঠনের প্রয়াসের কথা বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরেন।

বিশ্ব নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তান উত্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রস্তাবগুলো হচ্ছে: প্রধান প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশসমূহকে উচ্চাভিলাষী এসডিসি প্রণয়ন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য ৫০:৫০ অনুপাতে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিত করা, পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, ক্ষয় ক্ষতিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা।