অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত ৫’শ শয্যা বিশিষ্ট দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
১শ’ ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয় দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতল।
৫’শ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে ১২ টি বিভাগ ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই পর্যাপ্ত জনবল। টেকনিশিয়ানের অভাবে বন্ধ রয়েছে ল্যাবগুলো।
হাসপাতালের ১শ’ ৭০টি নার্সের পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর অন্যান্য ১শ’ ৮৯টি পদও।
নার্স সেবা তত্ত্বাবধায়ক জুলফা জাহান জানান, আমাদের এখানে জনবল সংকট রয়েছে। মাঝে মাঝে এর জন্য আমাদের ডাবল ডিউটিউ করতে হয়।
১শ’ ৬৫টি চিকিৎসক পদের মধ্যে ৯৮টি পদই এখনো শূন্য রয়েছে। চিকিৎসদের চেম্বারগুলো বেশিরভাগ সময় থাকছে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টটিভদের দখলে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অরুণ কান্তি হালদার বলেন, আমাদের এখানে ডাক্তার সংকট রয়েছ। যে কারণে আমাদের ইনডোর মেডিকেল সেবাটা দুর্বল। আমার পর্যপ্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমরা রোগিদের সেবা দিতে পারছি না।
এ অঞ্চলের প্রায় ৩২ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এই সংকটগুলো দূর করার জন্য দাবি এলাকাবাসীর।