দেশের চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা নির্মূলের পর ছোট পর্দা থেকে শীর্ষ মডেল অভিনেতাদের রুপালি পর্দায় পা ফেলার হিড়িক পড়ে যায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ পেয়েছেন অসম্ভব রকমের সফলতা। আবার কেউ কেউ শুধু নামেই নায়ক হয়ে হারিয়ে গেছেন।
দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে কেউ ছোট পর্দা থেকে বিদায় নিয়ে বড় পর্দায় স্থায়ী জায়গা করে নিচ্ছেন। আবার কেউ ছোটপর্দা ও বড়পর্দা দুই মাধ্যমকে সমানতালে নিজেদেরকে জনপ্রিয় করছেন।
ইমন: ২০০৮ সালে ‘এক বুক ভালোবাসা’ ছবির মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক ছবিতে অভিষেক ঘটে ইমনের। ‘বাংলালিংক’ খ্যাত মডেল ইমন শুরুতে হোচট খেলেও তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। বক্স অফিসের দৌড়ে যেমনই হোক, আট বছর ধরে নিজের ক্যারিয়ার ঠিকঠাক ধরে রেখেছেন ইমন।
নিবর: ‘বাংলালিংক’ খ্যাত মডেল নিরবও ইমনের পথ ধরে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু করেছেন। ২০০৯ সালে নিরবের মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমা ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’। তিনিও ইমনের মতো টেলিভিশন কেন্দ্রিক নির্মাতাদের কাছে পছন্দের নায়ক।
নিরবের ক্যারিয়ারও সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সুপারহিট ছবি ইন্ডাষ্ট্রিকে উপহার দিতে পারেননি। তবে নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সামনের দিকে চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থানে নিরন্তর চেষ্টা করছেন এ মডেল।
চঞ্চল চৌধুরী: ছোট পর্দার নায়কদের চলচ্চিত্রে এসে কাজ করে ব্যর্থতা কুড়ানোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৮ সালে সবচেয়ে বড় চমকটি দেখান চঞ্চল চৌধুরী। চঞ্চল চৌধুরী, ফারহানা মিলি অভিনীত ‘মনপুরা’ ব্লকবাষ্টার হিট হওয়ার পর টিভি নায়কদের বুক চওড়া হয়ে উঠে।
যদিও চঞ্চল ‘রূপকথার গল্প’ করেছিলেন তারও আগে। ছবিটি বাণিজ্যিক না হলেও একক নায়ক ছিলেন চঞ্চল। এরপর ‘মনের মানুষ’ সিনেমা করে যথেষ্ট সুমান কুড়িয়েছেন এ অভিনেতা। বর্তমানে তার মুক্তি পাওয়া সিনেমা মধ্যে রয়েছে ছবি ‘আয়নাবাজি’।
মোশাররফ করিম: চঞ্চলের পর মোশাররফ করিমের পালা। তিনি ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ করলেন ২০০৯ সালে। ছবিটি তেমন ব্যবসাসফল না হলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে যথেষ্ট। এরপর ‘টেলিভিশন’ ছবিতে বাজিমাৎ। দেশের সীমানা পেড়িয়ে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘জালালের গল্প’। সেরা ছবি হিসেবে বিভিন্ন দেশ ঘুড়ে বেড়িয়েছে এ ছবিটি। সেরা অভিনেতা সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।
নিলয়: ‘সুপার হিরো’ খ্যাত নিলয় ছোট পর্দায় শীর্ষ তারকা হতে পারেননি। কিন্তু রিয়েলিটি শো’ থেকে আসায় পরিচিতি কুড়িয়েছেন দ্রুত। নিলয়ের প্রথম ছবি ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’। ছবিটি ব্যবসা সফল না হলেও নিলয়ের অভিনয় দক্ষতায় সুনাম ছিলো।
তাই চলচ্চিত্র অঙ্গনের পরিচালকরা অবশ্য তাকে নিয়ে অপার সম্ভাবনা দেখেন।