ব্যথানাশক ডাইক্লোফেন ইনজেকশন নেওয়া পশুর মৃতদেহ খেয়ে শকুন বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে বলে পশুর দেহ যেনো শকুনের পেটে না যায় তা নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল। শকুনের জন্য চালু হয়েছে রেষ্টুরেন্ট। এই উদ্যোগ শকুন রক্ষা ও বংশবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পাহাড়ঘেরা নেপালের চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেষ্ট আর লুম্বিনীর কিছু এলাকা হয়ে উঠেছে শকুনের নিরাপদভূমি। যেখানে রক্ষা করা হচ্ছে শকুনের স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধির সহায়ক পরিবেশ। নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে শকুনের জন্য রেষ্টুরেন্ট আর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ।
শকুন রক্ষায় নেপালে সাধারণ মানুষের ইতিবাচক ভূমিকা আর অভিনব কর্মসূচির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সচেতনতায় শকুন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারছে নেপাল। এই উদ্যোগ শকুন রক্ষায় অন্য দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
তবে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা মনে করেন, ডাইক্লোফেন-কিটোপ্রফেনের মতো ওষুধের ব্যবহার পশুর দেহে পুরোপুরি বন্ধ করতে পারলে শকুনের জন্য রেষ্টুরেন্টের প্রয়োজন হবে না। বরং প্রাকৃতিক নিয়মেই রক্ষা পাবে শকুন।