কক্সবাজার শহরে বাসায় ঢুকে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছিনতাইকালে ওই তিন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে ছিল। গ্রেপ্তার তিনজনই কক্সবাজার সদর মডেল থানায় কর্মরত।
গ্রেপ্তাররা হলো, কক্সবাজার সদর মডেল থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক নূরুল হুদা, কনস্টেবল মুমিনুল মামুন ও মামুন মোল্লা।
সোমবার বিকালে কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সাদা পোশাকধারী পুলিশের ছিনতাইয়ের শিকার রোজিনা খাতুনের স্বামী রিয়াজ আহমেদ জানান, ব্যবসায়িক কাজে তার স্ত্রী আত্মীয়-স্বজন থেকে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাড়িতে রাখেন। সোমবার সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে করে সাদা পোশাকধারী পাঁচ জনের একটি দল বাসায় ঢুকে তার স্ত্রীকে মারধর করে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়।
পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ট্রিপল নাইনে ফোন করে বিষয়টি সদর মডেল থানা পুলিশকে জানানো হয় এবং ঘটনাস্থলে আটক একজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তার আহত স্ত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকালে তিন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে কক্সবাজার শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার ব্যবসায়ী রিয়াজ আহমদের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী রোজিনা আকতারকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাই করে। চলে আসার সময় রোজিনা আকতার চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে।
পালানোর সময় এক পুলিশ সদস্যকে আটক করে লোকজন। তবে অন্য দু’জন পালিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে অন্য দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী রোজিনা আকতারের মামলা দায়ের করার পর দ্রুত বিচার আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যকে দ্রুত বিচার আইনে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, এই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনী বিধি মতো সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।