রাজধানীর ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল ও কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে আগামী ২৫ নভেম্বর রায় দেয়া হবে। মামলার যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন মঙ্গলবার রায়ের এই তারিখ ধার্য করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মাহফুজ মিয়া বলেন, বিচার শুরুর দুই বছরের বেশি সময় পর রায় হতে যাচ্ছে। মামলায় রাজধানীর খ্যাতনামা বিদ্যালয়টির বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের শিক্ষক পরিমলই একমাত্র আসামি। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামের বাসিন্দা পরিমল ২০১০ সালে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে করা মামলায় ধর্ষিত ছাত্রীরা বাবা ভিকারুননিসার তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে আসামি করেছিলেন। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অব্যাহতি দেওয়া হয় অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফরকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করে পরিমল। পরে তার নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে তাকে জিম্মি করে ১৭ জুন পুনরায় ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।
এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফরকে আসামি করে মামলা করেন। এর একদিন বাদেই পরিমলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। মামলার শুনানিতে বিচারকের কাছে ওই ছাত্রী পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।