চোট-পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করে দুদিন হল মাঠে ফিরেছেন। এরমধ্যেই নেইমারের জন্য দুঃসংবাদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন পিএসজি সুপারস্টার। শুক্রবার তার শাস্তি ঘোষণা করে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা- উয়েফা।
ইনজুরির কারণে নেইমার তখন রিও কার্নিভালে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন পিএসজি কর্মকর্তারা। প্যারিসের নিজেদের মাঠে বসে দলের হার একদমই মেনে নিতে পারেননি নেইমার। শেষমুহূর্তের গোলে হারে পিএসজি।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পুরো রাগটা গিয়ে পড়ে রেফারি ও ভিএআরের উপর। মিডিয়া তখন খবর দেয়, ম্যাচ শেষ হতেই নেইমার চলে গিয়েছিলেন টানেলে, ম্যাচ অফিসিয়ালদের অফিসের দিকে। রেফারি দারিও স্কোমিনার উদ্দেশে চিৎকার করতে করতে যাওয়ার সময় পিএসজির কর্মকর্তারাই তাকে আটকে রাখেন।
সামনাসামনি রেফারিকে কিছু বলতে না পেরে ইনস্টাগ্রামে নেইমার মন্তব্য করেন, ‘এটা কলঙ্ক। চারজন ফুটবল না জানা লোককে ভিএআর-এর রিপ্লে দেখতে বসানো হয়েছে। এটা মোটেই পেনাল্টি নয়। এটা কীভাবে পেনাল্টি হয়! বল তো লেগেছে পিঠে।’
এরপর ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে রেফারির উদ্দেশে যা লিখেছেন, তা ছাপার অযোগ্য।
এমন মন্তব্যের জন্য নিষেধাজ্ঞায় কবলে পড়তে হল পিএসজি তারকাকে। উয়েফার এথিক্স এন্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি শাস্তি দিতে পারে বলে খবর প্রকাশ হয়েছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত তাই হল। যদিও এটা কার্যকর হবে পরের মৌসুমে। কারণ এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আগেই বাদ পড়ে গেছে তার দল।
ঘটনার পর ইউরোপিয়ান মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছিল, ডিসিপ্লিন বিষয়ক কোডের ১১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন নেইমার। যার জন্য এক থেকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন। তদন্ত শেষে তিন ম্যাচই নিষিদ্ধ হলেন ব্রাজিলিয়ান ‘ওয়ান্ডার কিড’।
আগে একইরকম মন্তব্য করে শাস্তি পেয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার ডিজন লভরেন। উয়েফা নেশনস কাপে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের পর রেফারিদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন ক্রোয়েট তারকা।