তখন ভোর। মন তেমন একটা ভালো নেই। ছুটেছে হাসুর মন পবনের নাও। এক্ষুণি ইচ্ছে টুঙ্গীপাড়ায় ছুটে যায়। এক্ষুণি ইচ্ছে ৩২ নম্বরের শিউলি বকুল তলায় পৌঁছে নিঃশ্বাস নেয় প্রাণভরে। কী হয়েছে ঢাকায়!
তারপর শুরু এ মহাকাব্যিক উপাখ্যানের।
বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্রীয় চরিত্র করে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশকে নিয়ে মহাকাব্যিক এক উপন্যাস ‘বাবা’। লেখক মিলন ফারাবী। সাংবাদিকতা ছেড়ে লেখালেখির পাশাপাশি ভ্রমণ এবং মানুষের শিকড় অনুসন্ধানকেই এখন জীবনের লক্ষ্য করেছেন তিনি।
শিকড়ের সেই অনুসন্ধানেই গত তিন বছর ধরে তিনি লিখেছেন ‘বাবা’। উপন্যাসটি শিগগিরই ‘প্রতিদিনের ধারাবাহিক’ হিসেবে প্রকাশ করবে চ্যানেল আই অনলাইন।
লেখক মিলন ফারাবীর জন্ম ১৯৬৬ সালে বরিশাল জেলার সাবেক পিরোজপুর মহকুমার স্বরূপকাঠিতে। লেখালেখি ও ভ্রমণই এখন তার নেশা এবং পেশা।
চ্যানেল আই অনলাইনকে মিলন ফারাবী বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে এই ইতিহাসনির্ভর উপন্যাসটি লেখা। তথ্যের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার নথি অনুসরণ করা হয়েছে। সুতরাং এই জায়গায়টায় বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।
উপন্যাসটি প্রকাশ শুরুর আগে চ্যানেল আই অনলাইনের এডিটর জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, মিলন ফারাবী একইসঙ্গে সৃষ্টিশীল এবং পরিশ্রমী লেখক। তার আগের উপন্যাসগুলোতেও আমরা তার প্রকাশ দেখেছি।
‘ধারাবাহিক হিসেবে তার “বাবা” উপন্যাসটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা আশা করি নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরতে এ উপন্যাসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে,’ বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চ্যানেল আই অনলাইনের এডিটর বলেন, এ দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম যাকে প্রতিদিন নতুন করে, আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করা যায়। ‘সেই অসাধারণ মানুষটিকে নিয়ে মিলন ফারাবীর উপন্যাস “বাবা” আমাদের পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা ধন্য মনে করছি।’
পাঠকদের আগামী কয়েক মাস ধরে উপন্যাসটি পড়ার আমন্ত্রণও জানান জাহিদ নেওয়াজ খান।
(স্কেচ কৃতজ্ঞতা: শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ)