চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চোরাচালানে শিশুদের জড়িয়ে পড়া রোধে সীমান্তের স্কুলে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের নির্দেশ

শিশুরা মাদক চোরাচালানের মত অপরাধে যাতে জড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সীমান্ত এলাকার স্কুলগুলোতে সচেনতামূলক ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, ভারত থেকে অবৈধভাবে মহিষ আনা, বিজিবির কাজে বাধা ও রাজস্ব ফাঁকি সংক্রান্ত মামলায় এক শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে আসামি করা বিষয়ক শুনানিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দেন।

এসময় আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আর আদালতে মতামত ধরা আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ১৯ বছর দেখিয়ে মামলা করার ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর বিজিবির সুবেদার নায়েব মো. সাহাব উদ্দিনকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। সেদিন আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদককে বলেছিলেন শিশুটিকে হাইকোর্টে আমার ব্যবস্থা করতে। সে অনুযায়ী বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে শিশুটি আদালতে আসে। এরপর বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. সাহাব উদ্দিন আদালতে হাজির হন। এরপর নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিন শিশুটিকে মামলায় জড়ানোর জন্য লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষামা চান এবং বয়েস দেখানোর জন্য আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতর সম্পাদক, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতে বলেন, যে মামলা হয়েছে আমরা সে মামলার বিষয়বস্তুতে যেতে চাই না। আমাদের আলোচ্য বিষয় শিশুটির বয়স নিয়ে। কারন শিশুটিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে তার বয়স কত। কিন্তু মামলায় দেওয়া হয়েছে ১৯ বছর। শিশুরা অপরাধ করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শিশু আইনে শিশু আদালতে তার বিচার হবে। কিন্ত তাকে কেন বয়স বাড়িয়ে ফৌজদারী আদালতে বিচারের মুখোমুখী করা হবে?’

এরপর হাইকোর্ট বিষয়টি নিস্পত্তি করে বলেন, ‘শিশুটিকে এই মামলায় আর আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। তবে মামলা যেহেতু হয়েছে নিয়ম মত তার তদন্ত হবে।’

এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুরের খিলাতৈল এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল বেপারী বৈধভাবেই ২০টি মহিষ কিনে বাড়ি আনেন। কিন্তু বিজিবি সদস্যরা গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই মহিষগুলো আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বিজিবির নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিন জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই শিশু, তার বাবা, ভাই, বোন, ভাবীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৮/১০জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, আসামিরা ১৫টি মহিষ ছিনিয়ে নেয়। আসামিরা তাদের কাজে বাধা দেন। এমন প্রেক্ষাপটে ওই শিশুটিসহ ১০ জন হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদন করেন। এরপর হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।