চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চেনা মুশফিকে জিতল রূপগঞ্জ, নাজমুলের ‘প্রথমে’ আবাহনী

বিকেএসপি থেকে: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও আবাহনী লিমিটেড। মুশফিক-নাঈমের সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জ ৬৮ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। আর পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনী জিতেছে ৭ উইকেটে। বড় জয়ের পথে নাজমুল হোসেন শান্ত ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে এটি তার প্রথম শতক।

চার নম্বর মাঠে মুশফিক ও নাঈমের জোড়া সেঞ্চুরিতে শুরুতে ব্যাট করে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রূপগঞ্জ। জবাবে ৪৬.২ ওভারে ২৩৭ রানে গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন জিয়াউর রহমান।

মোহাম্মদ শরিফ, আসিফ হাসান, মোশাররফ হোসেন রুবেল ও নাঈম ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।

রূপগঞ্জের ইনিংসের শুরুটা এদিনও ভালো হয়নি। ১৩ রানে দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরে যাওয়ায় অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় দলটি। বিপর্যয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও নাঈম ইসলাম। দুই ব্যাটসম্যানের জুটি যখন ভাঙে রান তখন ২৩৮। যার ২২৫ এসেছে জুটিতে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় উইকেটে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি।

আব্দুর রাজ্জাকের বলে লং অফে ক্যাচ দেয়ার আগে মুশফিকের নামের পাশে ১৩৪ বলে ১৩৪ রান। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় দারুণ ইনিংসটি খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক। আর নাঈম করেন ১০৩ রান। ১১৮ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কার মার।

অন্যদিকে, তিন নম্বর মাঠে আবাহনীর জয়ের নায়ক তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। এই বাঁহাতির ১০৯ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে অনায়াস জয় পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও রাখেন দারুণ ভূমিকা। মাত্র ৫২ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সহজ করে দেন ম্যাচের সমীকরণ। ২৩৫ রানের লক্ষ্য আবাহনী টপকায় ৩৮.৩ ওভারে, মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে। ইনজুরি থেকে ফেরা লিটন দাস করেন ২০ রান।

মামুন হোসেন, হাফিজ আল হাসান ও রাজিবুল ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তোলে পারটেক্স। জুবায়ের আহমেদ খেলেন ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস। সাজ্জাদ হোসেনের ব্যাটে আসে ৪৪ রান।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শুভাগত হোম নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও সাঞ্জামুল ইসলাম।