চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের দায় কাউকে না কাউকে নিতেই হবে: হাইকোর্ট

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না, এর দায় কাউকে না কাউকে নিতেই হবে।

ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ক্ষতিপূরণ ও নির্দেশনা চেয়ে করা পৃথক তিনটি রিট শুনানির জন্য উপস্থাপনের সময় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ একথা বলেন।

এ সময় আদালত বলেন, নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের করা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এধরনের দুর্ঘটনারোধে যে সব সুপারিশ করেছিলেন সেগুলোর বাস্তবায়ন হলে চকবাজারে এই দুর্ঘটনা হয়ত ঘটতো না। পুরান ঢাকার ওই সব এলাকার বাড়ির মালিকরা তাদের বাসা দুই তিনগুণ বেশিতে গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেন। আর নিজেরা থাকেন গুলশান-বনানীতে। সিটি কর্পোরেশন এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। পরে ভয়াবহ সব দুর্ঘটনায় মারা যায় সাধারণ গরিব মানুষ। আর পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো এত সরু যে সে সব রাস্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঠিকমত যেতে পারে না।

আদালত আরো বলেন, আমারা পত্রিকায় দেখেছি নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী দুটি মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন। আবার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরই উনি তা মনিটরিং করেছেন। উনি অনেক করছেন। কিন্তু উনি একা তো এ দেশটা চালাতে পারবেন না। সবারইতো দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি (ইমেজ) নষ্ট হয়ে যাবে।

আদালতের এসব কথার আগে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা তিনটি রিট শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন।

এরপর আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে রিট তিনটি শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন।

আজ আদালত রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ইউনুস আলী আকন্দ, অমিত দাস গুপ্ত, ব্যারিস্টার নূর মোহাম্মদ আজমী এবং খন্দকার মোঃ সায়েদুল কাউছার।