বাণিজ্যিক কোম্পানীর বহুমুখী সহায়তায় নতুন এক আশা খুঁজে পেয়েছেন চীনের ছোটবড় পোল্ট্রি খামারিরা। পোল্ট্রি খাদ্যের উন্নত মানের কারণেই পাল্টে গেছে লেয়ার মুরগী পালন আর ডিম উৎপাদনের হিসাব নিকাশ।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ শ্যাংডন এর জখৌজি গ্রাম। এলাকার তাপমাত্রা চরম ভাবাপন্ন। শীতে নেমে যায় হিমাংকের ১০ ডিগ্রি নীচে আর গরমে উঠে যায় ৪০ ডিগ্রিতে। এমন আবহাওয়ায় পোল্ট্রি খামার অসম্ভব মনে হলেও তাপ নিয়ন্ত্রণের টেকসই ব্যবস্থা অনুসরণ করায় চলছে সাফল্যের সঙ্গে।
দশ বছর বয়সী একটি খামার গত দুই বছর ধরে দেখছে অভাবনীয় সাফল্যের মুখ। খামারি লিও বলছেন, এটি সম্ভব হচ্ছে মানসম্মত খাদ্যসহ বাণিজ্যিক কোম্পানির নানান সহযোগিতায়। কখনো কখনো ব্যাংক লোনের ব্যবস্থাও করে দিয়ে থাকে খাদ্য কোম্পানি।
বাংলাদেশে ২ কেজি খাদ্যে ১ কেজি ডিমের হিসাব কষা গেলেও সেখানে লাভ বের করা কঠিন খামারিদের কাছে। কিন্তু চীনের এই খামার ২ কেজি খাবারে নিশ্চিতভাবেই বেরিয়ে আসছে এক কেজি ডিম। তা থেকে লাভ থাকছে চীনা মুদ্রায় ২ আরএমবি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬ টাকা। খাদ্য কোম্পানির দাবি, খামারিদের লাভ তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
শ্যাংডনের জিয়াও টং ডিস্ট্রিক্টের নিউহোপের সেলস ম্যানেজার লী বলেন, আমাদের খাবারে প্রোটিনের মাত্রা একটু বেশি, তাই ডিমের খোসা পুুরু ও মোটা হয়। তাছাড়া খাবারের দামও কম। তাছাড়া আমাদের কোম্পানি খামারিদের লাভের দিকটিকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
এই নীতি অনুসরণীয় হতে পারে বাংলাদেশের পোল্ট্রি উপকরণের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।