চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকে অর্থনৈতিক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সরকারের মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করছেন, এ সফরে হতে যাওয়া ২১টি চুক্তি ও দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে।
দেশের বিদ্যুৎখাত, সেতু ও অবকাঠামোর বিভিন্ন প্রকল্পে চীনা সহায়তা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরালো করেছে। বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি থাকলেও ৫৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ফলে চীনে রপ্তানির হারও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকে খুবই ইতিবাচক মনে করছে চীন-বাংলাদেশ চেম্বার।
যে ২১টি প্রকল্পে চুক্তি সই হতে যাচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতের প্রকল্প।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে আমরা চীনের সহযোগিতা চেয়েছি। সেই বিষয়গুলি হয়তো এবার নিশ্চিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন, চীনা প্রেসিডেন্টের এ সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, চীনে তৈরি পোশাক খাতে যারা বিনিয়োগ করে এদের অনেকেই বাংলাদেশে এসে তাদের শিল্প পুনঃস্থাপন করবে। আমরা চীনকে একটা স্পেশাল ইকোনোমিক জোন বরাদ্দ দিচ্ছি। তাই আমাদের আশা চীনের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করবে।
তিনটা খাতের উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং আমাদের বিভিন্ন প্রজেক্টে তাদের (চীনের) অর্থায়ন। এই তিনটার উপর আমাদের গুরুত্ব। অর্থায়ন হবে এমন ২১টার মতো প্রজেক্ট আমরা চিহ্নিত করেছি। যেগুলোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
তারা আশা করেন, এ সফরের ফলে দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কও আরো জোরদার হবে।