চলতি সপ্তাহে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ঘাটতি থাকায় প্রথম ডোজ নেওয়াদের মধ্যে ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পেতে দেরি হতে পারে।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) ডা. অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এই সপ্তাহ শেষে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের মজুদ একেবারেই ফুরিয়ে যাবে। এর মধ্যে নতুন করে ভ্যাকসিন না পেলে ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেতে বিলম্ব হবে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যে বাড়তি টিকাগুলো আছে, সেগুলো থেকে আমাদের ঘাটতি টিকা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী যে খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, মিক্সড করে (দুই ডোজ দুই প্রতিষ্ঠানের) টিকা কার্যক্রমের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এফডিএসহ তারা যদি এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরাও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা পেতে চেষ্টা চলছে। টিকার ব্যবস্থা হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রমও শিগগিরই শুরু করতে পারব।
ভারতের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রসঙ্গে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ভারতের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। আমরা চাই এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন করে চাপ হয়ে না দাঁড়ায়। আমরা জাতীয় কারিগরি কমিটি আলোচনা করছি। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলছি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এলে এর চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, সে সম্পর্কিত গাইডলাইন আপনাদের দিয়ে দিবো।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত করোনার নয়টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি একেবারে নিশ্চিত। জিনোম-সিকোয়েন্সিং চলছে। আমরা মনে করি, রিপোর্ট হাতে এলে সংখ্যাটি বেড়ে যাবে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ করার সক্ষমতা অনেক বেশি। কাজেই সাধারণ কোভিড-১৯ এ আমরা যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছি, হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা এই কাজগুলো আমাদের আরও জোরে-সোরে করতে হবে। অন্যদের করার জন্য আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিতে হবে।’