চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ৫ বছর পরে আবারো আলোচনায় বৃষ্টির প্রভাব। আ জ ম নাছির বৃষ্টির কল্যাণে জয়ী হতে না চাইলেও বলেছেন, জলাবদ্ধতা যেহেতু চট্টগ্রামের বড় সমস্যা, তাই বৃষ্টি হলে ভোটারের মনে প্রভাব পড়বে। তবে মনজুর আলমের দাবি, গতবারের মতো বৃষ্টি তার জন্য আশীর্বাদ না হলেও অভিশাপ হবে না।
বন্দরনগরীতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার একদিন আগে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কখনো ইলশেগুঁড়ি, কখনো একটু বেশি। এর মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারে দুই প্রধান মেয়র প্রার্থী। ২০১০ সালের নির্বাচনে ভোটের দু’দিন আগে মুষলধারের বৃষ্টিতে নগরীর বড় একটি অংশ পানিতে তলিয়ে গেলে ভোটের লড়াইয়ে হেরে গিয়েছিলেন তখনকার সদ্যবিদায়ী মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী। এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন। তার জন্য বৃষ্টি আশীর্বাদ হতে পারে কি না, বৃষ্টির মধ্যে প্রচারণায় বের হওয়ার আগে এমন প্রশ্নে কূটনৈতিক উত্তর ছিলো তার।
তিনি বলেন, বৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এতদিন কেবল মুখেই কথা বলেছি। এখন প্রচারণার সময় বৃষ্টির কারণে ভোটাররা চাক্ষুস দেখতে পারবে জলাবদ্ধতা কত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
কিছুক্ষণ পর নগরীর দেওয়ানবাজার দিদার মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণায় বিএনপি সমর্থিত সদ্য সাবেক মেয়র মনজুর আলম। গতবার বৃষ্টির আশীর্বাদ পেয়ে মেয়র হলেও প্রতিশ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন পুরোপুরি হয়নি। তাহলে এবার বৃষ্টি কি তার জন্য অভিশাপ হবে?
জবাবে তিনি বলেন, বৃষ্টিতো হবেই। গরমের সময় বৃষ্টি হলেই ভালো। বৃষ্টিও থাকবে, আপনারাও থাকবেন, আমরাও থাকবো। তবে আমরা কাজ করেছি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভয় কিসের?
বৃষ্টির প্রভাব নিয়ে দুইপ্রার্থী যখন ভোটের হিসাবনিকাশে প্রচারণায় ব্যস্ত, তখন নির্বাচন কমিশন থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে নির্বাচনী সামগ্রী। বৃষ্টির মধ্যে সকালে বেশ কয়েকটি ট্রাকে স্টেডিয়াম এলাকায় জিমনেসিয়াম কক্ষে আসে প্রায় ৫০ লাখ ব্যালট পেপার, ৪ হাজারের ওপর ব্যলট বাক্স।
চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ভোটারের সংখ্যা ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। গতকালই আমরা ব্যালট পেপার ও অন্যান্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করেছি। স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সও আমাদের সংগ্রহে আছে।
ভোটাররা বলছেন, কর্ণফুলী নদীর তীরের শহর হওয়ায় এবং গত ২০ বছর ধরে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার অভিশাপে দগ্ধ হওয়ায়, এবারও ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বৃষ্টি।