ভোলায় গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হয়েছে শিশুসহ আরও ২ জন। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খারাকান্দি গ্রামে ঘরে সিঁদকেটে আগুন দেয়া হয়।
পুলিশ ধারণা, নিহতের স্বামী রফিক পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। রফিক পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত সুরমার সঙ্গে বোরহানউদ্দিনের দেউলা এলাকার রফিকের ৬ মাস আগে বিয়ে হয়। এটা ছিল রফিকের তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর লালমোহনের কর্তার হাট এলাকায় ঘর ভাড়া করে স্বামী স্ত্রী দুই জন বসবাস শুরু করে। কিন্তু রফিক তেমন কাজকর্ম করত না। তাই ঘর ভাড়া ঠিক মতো পরিশোধ করতে পারত না।
এছাড়াও বিয়ের পর স্বামী রফিকের সঙ্গে সুরমার বনিবনা হচ্ছিল না বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা। তাদের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এ নিয়ে বিচার সালিশও হয়েছে।
‘১০ দিন আগে সুরমাকে রেখে তার স্বামী চলে গেলে সুরমা বড় বোন আংকুরা বেগমের বাড়িতে ওঠেন। ওই বাড়িতে শুক্রবার রাতে খাবার পর এক বিছানায় সুরমা, তার বোন আংকুরা এবং আংকুরার মেয়ে খাদিজা ঘুমিয়ে ছিলেন।
রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় মাটির ঘরের পেছন দিয়ে সিঁদ কেটে হামলাকারী ঢুকিয়ে চৌকির লেপ-তোষকে আগুন ধরিয়ে দিলে সুরমার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বড় বোন আংকুরা (৩৮) ও বোনের মেয়ে খাদিজা (৮) মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘরে ঢুকে আহতদের উদ্ধার করে।’
অগ্নিদগ্ধ দু’জনকে শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন রথীন্দ্র নাথ মজুমদার।
ভোলা পুলিশ সুপার মো মোকতার হোসেন জানিয়েছেন, দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযান চলছে। অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।